for লুপ
এর আগে আমরা দেখেছি কোন একটা নির্দিষ্ট কন্ডিশনের সত্যতার উপর ভিত্তি করে একটি কাজ একাধিকবার করার জন্য while
লুপের ব্যবহার। কিন্তু, পাইথনের যেকোনো সিকোয়েন্স টাইপ অবজেক্ট যেমন, লিস্ট (list
) এর প্রত্যেকটি এলিমেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য while
লুপ ব্যবহার করলে একটু বেশি কোড লিখতে হয়। যেমন while
লুপের কনসেপ্ট ঝালাই করতে এবং ব্যাপারটা বুঝতে নিচের উদাহরণটি দেখি,
আউটপুট,
ঠিক একই কাজ for
লুপ ব্যবহার করে করলে অনেক কম কোড লিখেই করা সম্ভব। for
লুপ দিয়ে খুব সহজেই যেকোনো সিকোয়েন্স টাইপ অবজেক্ট যেমন list
, string
ইত্যাদির মধ্যে iterate করা যায়। তাহলে দেখি উপরের প্রোগ্রামটি কিভাবে ফর লুপ ব্যবহার করে করা সম্ভব,
আউটপুট,
আউটপুট কিন্তু একই। তাই, যখনই কোন iterable নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন পরবে তখন for
লুপ ব্যবহার করাই ভালো হয়।
অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন php তে এরকম কাজের জন্য আছে
foreach
যা দিয়ে কোন অ্যারে তে অপারেশন করা অনেক সহজ হয়ে যায়
এখন ধরুন আপনার কাছে কোন লিস্ট নাই কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যকবার একটি কাজ পুনরাবৃত্তি করা দরকার। তখন কি করব? এ জন্য একটি সুন্দর ফাংশন হতে পারে range
যা আমরা আগের চ্যাপ্টারে দেখে এসেছি। মনে আছে, range
ব্যবহার করে ইচ্ছামত লিস্ট তৈরি করা যায়? এটাকেই কাজে লাগিয়ে নিচের উদাহরণটি দেখি,
আউটপুট,
অর্থাৎ, range
ফাংশন ব্যবহার করে একটি কাল্পনিক লিস্ট তৈরি করা হয়েছে যার এলিমেন্ট গুলো ছিল ০ থেকে ৯ পর্যন্ত [0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9]
এরকম। আর সেই লিস্টকেই iterate করা হয়েছে for লুপ দিয়ে অর্থাৎ ১০ বার কাজ করানো হয়েছে এই লুপকে। আর কাজটা ছিল তেমন কিছুই না প্রত্যেকটি এলিমেন্টকে ধরে প্রিন্ট করা।
এখন পর্যন্ত range
ফাংশন এ প্যারামিটার হিসবে আমরা একটিমাত্র আর্গুমেন্ট দিচ্ছিলাম। আমরা যখন ফর লুপে range(10)
লিখেছিলাম, এটি মূলত ০ থেকে ৯ পর্যন্ত প্রিন্ট করেছে। আবার একইভাবে যদি range(20)
বসাই, তাহলেও একইভাবে ০ থেকে ১৯ পর্যন্ত প্রিন্ট করে দেখাতো । কিন্তু আমরা চাইলে আমাদের রেঞ্জ পছন্দমত বলে দিতে পারি, যেমন ধরুন, ৫ থেকে শুরু করে ৯ পর্যন্ত। এজন্য আমাদের যা করতে হবে , রেঞ্জ ফাংশনে দুইটা মান বা প্যারামিটার পাস করতে হবে, প্রথমটা শুরু এবং পরেরটা শেষের মান। নিচের কোডটা খেয়াল করি -
আউটপুট
এছাড়াও আমরা স্টেপ সাইজও বলে দিতে পারি এখানে। মানে, কত ঘর পরপর মান বা ভ্যালু প্রিন্ট করবে সেটা। এরজন্য আমাদের উপরের মানদুটির সাথে আরো একটি প্যারামিটার দিতে হবে, যেটা হবে ইন্টারভাল বা স্টেপ সাইজ। যেমন ধরুন, আমরা ৫ থেকে ১৫ পর্যন্ত প্রিন্ট করবো এবং চাই যে তিন ঘর পরপর প্রিন্ট হোক। তাহলে এর জন্য আমাদের রেঞ্জ ফাংশনের ভিতরে যথাক্রামে, 'শুরু, শেষ, স্টেপ_সাইজ' মানগুলো বসাতে হবে। নিচের কোডটা খেয়াল করি -
আউটপুট
আচ্ছা এ পর্যন্ত বুঝা গেলে আমরা একটি কাজ করতে পারি, এ পর্যন্ত তো আমরা সামনের দিকে ভ্যালু প্রিন্ট করা দেখলাম, কেননা আমরা এবার রেঞ্জ ব্যবহার করে এমন একটি কোড লিখি যেটা উল্টো দিকে ভ্যালু প্রিন্ট করবে, মানে ধরুন ১০ থেকে শুরুে হয়ে ০ পর্যন্ত যাবে এবং চলুন এর সাথে স্টেপ সাইজও ব্যবহার করে ফেলি, যেনো দুই ঘর পিছিয়ে পিছিয়ে ভ্যালু প্রিন্ট করে। নিচের কোডটা দেখলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে -
আঊটপুট
আচ্ছা একটি মজার বিষয় জেনে রাখি, এই পর্যন্ত রেঞ্জ নিয়ে কাজ করলে আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন , রেঞ্জ ফাংশনে আপনি শুধু ইন্টিজার ভ্যালুই দিতে পারেন, ফ্লোট টাইপ ভ্যালু দিতে পারেন না। সত্যি বলতে রেঞ্জ ফাংশন ফ্লোট টাইপ ভ্যালু আর্গুমেন্ট হিসেবে নেয় না।
কিন্তু আমরা চাইলে এর জন্য কাস্টম ফাংশন তৈরি করে নিতে পারি। এখানে আমরা একটি ইউজার ডিফাইন ফাংশন তৈরি করবো, যেটা রেঞ্জ ফাংশনের মতনই কাজ করবে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, এটি ফ্লোট টাইপ ডাটা নিয়েও কাজ করতে পারবে। আচ্ছা, ফাংশন সেকশনে ইউজার ডিফাইন ফাংশন নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে। আপনি যদি এর সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন, তাহলে আগে সে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে আসুন, তারপর এটি পড়ুন, এতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে। আচ্ছা, নিচের কোডটা খেয়াল করি -
আউটপুট
আচ্ছা, string তো একরকম iterable তাহলে এখানেও একবার for
লুপ খাটিয়ে দেখি কিছু করা যায় কিনা -
আউটপুট,
while
লুপের মত ফর লুপেও break
, continue
ইত্যাদি কিওয়ার্ড ব্যবহার করে কাজের ধারাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন -
উপরে 0
থেকে 19
এই ২০টি এলিমেন্ট ওয়ালা একটি লিস্ট/রেঞ্জ এর উপর কাজ করা হয়েছে কিন্তু যখন 5
এলিমেন্টকে পাওয়া গেছে (i
এর মাধ্যমে) তখন continue
ব্যবহার করে একে প্রিন্ট না করে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে (লুপের শুরুতে ফিয়ে গিয়ে)। আবার যখন এলিমেন্টটি 9
এর বড়, সেই সময় ফর লুপের কাজ break
এর মাধ্যমে থামিয়ে দেয়া হয়েছে যে কারনে 9
প্রিন্ট এর পর ফর লুপের কোন কাজ দেখা যাচ্ছে না বরং প্রোগ্রামের শেষ একটি সাধারণ প্রিন্ট স্টেটমেন্ট এর এক্সিকিউশন হয়েছে।
সংকলন - নুহিল মেহেদী
Last updated